কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রধান কারণ গুরো কি কি জানেনে কি । হলো প্রস্রাবে খনিজ পদার্থের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়া।
প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট,ইউরিক অ্যাসিড, সিস্টাইন ইত্যাদি খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে পাথর তৈরি হতে পারে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় এমন কিছু কারণ হলো:
- কম পানি পান করা
- অতিরিক্ত প্রোটিন, লবণ বা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
- অতিরিক্ত ওজন
- পরিবারে কারও কিডনিতে পাথর থাকলে
- কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন করা
- কিছু নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন কেমোথেরাপি
- কিছু রোগ, যেমন গ্লুকোমা, থাইরয়েড সমস্যা, হাইপারপারথাইরয়েডিজম
কিডনিতে পাথর সাধারণত ছোট আকারের হয় এবং তা প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়।
তবে বড় আকারের পাথর মূত্রনালীতে আটকে গিয়ে তীব্র ব্যথা,
বমি, জ্বর, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে করণীয়:
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।
- অতিরিক্ত প্রোটিন, লবণ বা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।কিডনিতে পাথর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ডাক্তার পাথরের আকার ও অবস্থার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।
ছোট আকারের পাথর প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যেতে পারে।
তবে বড় আকারের পাথর বের না হলে ডাক্তার ভেঙে
ফেলার বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণের পরামর্শ দিতে পারেন।
কিডনিতে পাথর হওয়ার
প্রধান কারণ গুরো কি কি জানেনে কি।
কিডনিতে পাথর সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে:
- ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর: এই ধরনের পাথর সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এটি প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের পরিমাণ বেড়ে গেলে তৈরি হয়।
- ক্যালসিয়াম ফসফেট পাথর: এই ধরনের পাথর প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের পরিমাণ বেড়ে গেলে তৈরি হয়।
- ইউরিক অ্যাসিড পাথর: এই ধরনের পাথর প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তৈরি হয়।
- সিস্টিন পাথর: এই ধরনের পাথর প্রস্রাবে সিস্টিন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তৈরি হয়।
- কিডনিতে পাথরের উপসর্গ
কিডনিতে পাথরের উপসর্গ সাধারণত পাথরের আকার ও অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
ছোট আকারের পাথর সাধারণত কোন উপসর্গ সৃষ্টি করে না। তবে
বড় আকারের পাথর মূত্রনালীতে আটকে গেলে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে:
তীব্র ব্যথা:
কিডনিতে পাথরের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হলো তীব্র ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণত পিঠের নিচের দিকে বা তলপেটে অনুভূত হয়।
প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া:
পাথর মূত্রনালীতে আটকে গেলে প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে পারে।
বমি, জ্বর:
বড় আকারের পাথর মূত্রনালীতে আটকে গেলে বমি, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
কিডনিতে পাথরের চিকিৎসা
কিডনিতে পাথরের চিকিৎসা পাথরের আকার ও অবস্থার ওপর নির্ভর করে। ছোট আকারের পাথর সাধারণত প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। তবে বড়
আকারের পাথর বের না হলে ডাক্তার ভেঙে ফেলার বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণের পরামর্শ দিতে পারেন।
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন: প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
- অতিরিক্ত প্রোটিন, লবণ বা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।